সন্তানের ত্বক এবং মাথার চুলের রং ভিন্ন হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন মোজাফ্ফর হোসেন নামের এক যুবক। যশোর সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া চাঁদপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে মোজাফ্ফর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় বাজুয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার শহিদ মোল্লার মেয়ে মনিরা খাতুনের।
২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে শিশু আফিয়া। শিশুটি দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতো না হওয়ায় স্ত্রী ও মেয়েকে ত্যাগ করে প্রবাসী হন মোজাফফর। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মনিরা খাতুনকে তালাক দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
মনিরা বলেন, আফিয়া জন্মের পরপরই ওর বাবা আমাকে নানা অপবাদ দিতে শুরু করে। মেয়ে তার না। আমার অন্য কারো সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ছিল। আমি বারবার বলেও তাকে বোঝাতে পারিনি। আস্তে আস্তে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ৭ থেকে ৮ মাস পর আমাকে তালাক দিয়ে দেয়। এরপর আমার ও আমার মেয়ের কোনো খোঁজ নেয়নি।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২১ মে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি সালিশ হয়। সেই সময় স্বামী মোজাফফরের পক্ষে তার বড় ভাই আবু বক্কর আফিয়ার খরচ বাবদ প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন; কিন্তু দুই বছর পার হলেও কোনো টাকা দেয়নি। ফলে সন্তানকে নিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন তিনি।
তবে আধুনিক যুগে নিজ সন্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রয়োজনে ডিএনএ (ডি-অক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। তবে আফিয়ার বাবা সেটি করতে রাজি না। কাউকে না জানিয়ে সে বিদেশে চলে গেছে। তাই সবমিলিয়ে খারাপ সময় পার করছেন মনিরা।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তাকে একটি দরখাস্ত দিতে বলেছি। স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, সামাজিক সুরক্ষার ৩০ কেজি চাল কিংবা বরাদ্দ পাওয়াসাপেক্ষে তার ঘর তৈরির বিষয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
তবে শুরু মাত্র ত্বক ও চুলের রংয়ের জন্য এমন আচরণ করায় হতাশ এলাকাবাসী। শিশুটির ত্বক ও চুলের বিষয়ে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম মোর্তুজা বলেন, জেনেটিক্যালি ত্রুটির কারণে সাধারণত এমন হয়। আমাদের দেশে অনেক শিশুই আছে এমন। আলাদা করে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কেবল রোদে দৃষ্টিগত সমস্যা হয়। সান প্রটেকশান নিলেই ভালো থাকবে।
জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া চাঁদপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে মোজাফ্ফর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় বাজুয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার শহিদ মোল্লার মেয়ে মনিরা খাতুনের।
২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে শিশু আফিয়া। শিশুটি দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতো না হওয়ায় স্ত্রী ও মেয়েকে ত্যাগ করে প্রবাসী হন মোজাফফর। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মনিরা খাতুনকে তালাক দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
মনিরা বলেন, আফিয়া জন্মের পরপরই ওর বাবা আমাকে নানা অপবাদ দিতে শুরু করে। মেয়ে তার না। আমার অন্য কারো সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ছিল। আমি বারবার বলেও তাকে বোঝাতে পারিনি। আস্তে আস্তে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ৭ থেকে ৮ মাস পর আমাকে তালাক দিয়ে দেয়। এরপর আমার ও আমার মেয়ের কোনো খোঁজ নেয়নি।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২১ মে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি সালিশ হয়। সেই সময় স্বামী মোজাফফরের পক্ষে তার বড় ভাই আবু বক্কর আফিয়ার খরচ বাবদ প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন; কিন্তু দুই বছর পার হলেও কোনো টাকা দেয়নি। ফলে সন্তানকে নিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন তিনি।
তবে আধুনিক যুগে নিজ সন্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রয়োজনে ডিএনএ (ডি-অক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। তবে আফিয়ার বাবা সেটি করতে রাজি না। কাউকে না জানিয়ে সে বিদেশে চলে গেছে। তাই সবমিলিয়ে খারাপ সময় পার করছেন মনিরা।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তাকে একটি দরখাস্ত দিতে বলেছি। স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, সামাজিক সুরক্ষার ৩০ কেজি চাল কিংবা বরাদ্দ পাওয়াসাপেক্ষে তার ঘর তৈরির বিষয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
তবে শুরু মাত্র ত্বক ও চুলের রংয়ের জন্য এমন আচরণ করায় হতাশ এলাকাবাসী। শিশুটির ত্বক ও চুলের বিষয়ে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম মোর্তুজা বলেন, জেনেটিক্যালি ত্রুটির কারণে সাধারণত এমন হয়। আমাদের দেশে অনেক শিশুই আছে এমন। আলাদা করে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কেবল রোদে দৃষ্টিগত সমস্যা হয়। সান প্রটেকশান নিলেই ভালো থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক